প্রবেশপথে তালা , শ্রাবণেও একাকী বাবা বর্ধমানেশ্বর ! নেই ভক্তদের ভীড়

17th July 2020 12:28 pm বর্ধমান
প্রবেশপথে তালা , শ্রাবণেও একাকী বাবা বর্ধমানেশ্বর ! নেই ভক্তদের ভীড়


পিন্টু প‍্যাটেল ( বর্ধমান ) : আজ পয়লা শ্রাবণ । বাবা মহাদেবের আবির্ভাব মাস । বাংলা বছরের এই মাসটির শুরু থেকেই ঢল নামে ভক্তদের । গোটা শ্রাবণ মাস জুড়ে চলে বাবা 'র মাথায় জল ঢালা । এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতি করোনা আবহে । মন্দিরে মন্দিরে সতর্কতা । কোথাও আবার তালা বন্ধ প্রবেশপথে । লকডাউন । পয়লা শ্রাবণে একাকী বাবা বর্ধমানেশ্বর ও ! আলমগঞ্জে এই মোটা শিবের দরবারে সারা বছর ভক্তদের ভীড় থাকে । ১ লা শ্রাবণে তো আরো ভীড় উপচে পড়ে । বর্ধমান ছাড়াও পাশ্বর্বতী জেলা এমনকি ভিন রাজ‍্য থেকে আসেন ভক্তরা । এবার নেই সেই চিরাচরিত চিত্র । সম্পূর্ণ বদল ঘটেছে । আলমগঞ্জে বর্ধমানেশ্বর শিবের মন্দিরের গেট তালা বন্ধ । দু একজন ভক্ত এসে দূর থেকে প্রণাম করছেন । জমায়েতে যেমন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তেমনি জল ঢালাতেও নিষেধ রয়েছে । শুধুমাত্র নিত‍্য পুজো করছেন পুরোহিত সকালে । সন্ধ‍্যায় আরতি । কবে পরিস্থিতি বদলাবে জানেননা কেউ । ২৫ শে শ্রাবণ বর্ধমানেশ্বরের আবির্ভাব দিবস । ওই দিন ও কোনভাবেই জমায়েত করা চলবে না বলে জানিয়েছেন মন্দির কতৃপক্ষ । প্রশাসনিক নির্দেশ মেনে স্বাস্থ‍্য বিধি বজায় রাখার কথা জানিয়েছেন সকলে । 

জানা যায় , ১৯৭২ সালে মাটি খোঁড়ার সময় উদ্ধার হয় এই বিশালাকার শিবলিঙ্গ টি । যা সকলের কাছে মোটা শিব বা বুড়ো শিব নামে পরিচিত । শিবলিঙ্গ টি কষ্টিপাথরের । ওজন প্রায় ১৩ টন , উচ্চতা ৬ ফুট , পরিধি ১৬ ফুট । নানা ইতিহাস রয়েছে এই শিবলিঙ্গকে ঘিরে । শহর বর্ধমান তো বটেই গোটা বর্ধমান জেলার সাথে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে বাবা বর্ধমানেশ্বর । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।